স্মরণকালের ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত লিবিয়া। শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েলের আঘাতে লণ্ডভণ্ড দেশটিতে বেড়েই চলেছে মৃতের সংখ্যা। এরইমধ্যে মৃতের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়েছে। খবর এপির।

ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েলের তাণ্ডবে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে লিবিয়ার উত্তর উপকূলীয় অঞ্চল। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেরনা শহর। নগরটি যেন মৃত্যুপুরী। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে বের করে আনা হচ্ছে একের পর এক মরদেহ। ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে বাঁধ ভেঙে যাওয়ার পর আকস্মিক বন্যায় প্রাণ হারিয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। এ সংখ্যা কোথায় গিয়ে ঠেকবে জানা নেই কারও। রাস্তা ঘাটে পড়ে আছে মরদেহ। হাসপাতালগুলো পরিণত হয়েছে মর্গে।

দেশটির রেড ক্রিসেন্টের সেক্রেটারি ম্যারি এল-ড্রেস জানান, ভূমধ্যসাগরীয় শহরটিতে এখনো ১০ হাজার ১০০ জন মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। দেশটির স্বাস্থ্য-বিষয়ক কর্তৃপক্ষ এর আগে দেরনায় মৃতের সংখ্যা সাড়ে ৫ হাজার বলেছিলেন। এছাড়াও ড্যানিয়েলের আঘাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে ১৭০ জন নিহত হয়েছেন।

দেশটির স্মরণকালের ভয়াবহ এ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে এরইমধ্যে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। ইতালি, স্পেন, জার্মানি, মিসর, তুরস্কসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ইতোমধ্যেই দেশটিতে সহায়তা পাঠাতে শুরু করেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় ২০ লাখ মার্কিন ডলারের সহায়তা তহবিল গঠন করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বলেছেন,  বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে এরইমধ্যে দুই মিলিয়ন ডলারের জরুরি সহায়তা দেয়া হয়েছে। আমরা এরইমধ্যে সেখানে কাজ শুরু করেছি। দুবাই হাব থেকে মেডিকেল সরঞ্জামাদি লিবিয়ায় পৌঁছে গেছে। আমাদের জরুরি মেডিকেল টিমও সেখানে কাজ শুরু করেছে। এছাড়াও  ৮টি দেশ এবং বিভিন্ন সংস্থাও কাজ শুরু করেছে।